
১১ই ফেব্রুয়ারী রোজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সচিবালয় ক্লিনিকে করোনা ভাইরাসের টিকা নিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ ও তাঁর সহধর্মিণী।
টিকা গ্রহনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মহোদয় বলেন, ভয় ভীতির মধ্যে না থেকে চল্লিশ বছরের উর্দ্ধে সকলের টিকা নেওয়া উচিত। আমরা সবাই জানি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আপ্রান চেষ্টা এই করোনা ভাইরাস থেকে কিভাবে দেশের মানুষকে রক্ষা করা যায় সে লক্ষ্যে তাঁর মেধা, শ্রম ও প্রজ্ঞা দিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যেখানে এই করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সফল হতে পারেন নি, সেখানে এই করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সফল হয়েছেন। সারা বিশ্ব এটা স্বীকার করে যে শেখ হাসিনা একজন সফল রাস্ট্র নায়ক হিসেবে দক্ষতার সহিত করোনা ভাইরাসকে মোকাবেলা করেছেন।
করোনা চলাকালীন সময়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন দপ্তর সংস্হার কর্মচারীরা মাঠে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন তাদের সুরক্ষার নির্দেশনা বিষয়ক অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মহোদয় বলেন, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সকলকে আমি আহবান জানাবো টিকা গ্রহন করার জন্য।
সুবিধা বঞ্চিত মানুস বিশেষ করে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য করোনা ভাইরাসের টিকা নিশ্চিত করার প্রসঙ্গে মন্ত্রী মহোদয় জানান,প্রতিটি উপজেলায় সুবিধা বঞ্চিত মানুষ ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে যাতে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান করা যায় সে ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও মাঠকর্মীর মাধ্যমে আমরা এটা বাস্তবায়ন করবো ইতিমধ্যে তারা কর্মসুচি শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি স্হানীয় জন প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা সেখানে সার্বিক সহযোগিতা করছে। আশা করি সল্প সময়ের মধ্যেই আমরা সকলকে কভিড -১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
সকলেই করোনা ভাইরাসের টিকা নিন, নিজে সুস্থ থাকুন অন্যকে সুস্থ থাকতে সহযোগিতা করুন।
জয় বাংলা,
জয় বঙ্গবন্ধু।
