আমরা কি কারনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জয়গান করি।(পর্ব-০২,২০২০ সাল)।

Spread the love
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সিইবিআর বলেছে,২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারনে বিশ্ব অর্থনীতিতে অনেক উলট-পালট ঘটে গেছে।তবে এই করোনাকালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আমাদের আশান্বিত করে।ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্হা “সেন্টার ফর ইকোনমিক আ্যন্ড বিজনেস রিসার্চ ” তাদের সর্বশেষ এক রিপোর্ট বলেছে,বাংলাদেশ এখন যে ধরনের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সালে সাল নাগাদ দেশটি হবে বিশ্বের ২৫ তম বৃহৎ অর্থনীতি। “ওয়াল্ড ইকোনোমিক লিগ টেবল ২০২১” নামের এই রিপোর্টি অনুযায়ী আর ৭ বছর পর চীন হবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি।২০৩০ সালে ভারত হবে তৃতীয়।আর ২০৩৫ সাল নাগাদ ১৯৩ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্হান বহু ধাপ উপরে উঠে যাবে ২৫ নম্বরে।২০২০ সাল সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ ১৯৩ টি দেশের মধ্যে এখন বিশ্বের ৪১ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
করোনার মধ্যেও ২০২০ সাল শেষে অর্থনৈতিক অবস্থা—
১। রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার( ৩ লাখ ৬৫ হাজার কোটি )
২। রেমিট্যান্স ২০+ বিলিয়ন ডলার ( ১লাখ ৭০ হাজার কোটি) ( জানুয়ারি- ডিসেম্বর )
৩। রপ্তানি ১৯+ বিলিয়ন ডলার ১লাখ ৬৫+ হাজার প্রায় ( জুলাই – ডিসেম্বর)
৪।শেয়ারবাজার ৪ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা ( রেকর্ড সর্বোচ্চ )
৫। বাংলাদেশ ব্যাংকে অন্যান্য ব্যাংকের সিকিউরিটি মানি ৩ লাখ ৭১ হাজার কোটি ( দরকার হলো ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি ) ১ লাখ কোটি বেশি মজুত আছে !
সামাজিক অন্যান্য সূচকেও বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তান কে টপকে গিয়েছি অনেক কাল আগেই।বর্তমানে কিছু সূচকে ভারত কে পিছিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। করোনাকালে অনেক অদক্ষতার ঘটনা সত্বে ও বাংলাদেশ উন্নত দেশের বিবেচনায় ও মহামারি মোকাবেলায় যুক্তরাজ্যের সংবাদ সংস্হা ব্লুমবার্গের এক সূচকে “কোভড সহনশীল রেন্কিং” এ শীর্ষ ২০ এ বাংলাদেশের অবস্থান এবং এশিয়ার মধ্যে শীর্ষস্হান অর্জন।
নিম্নে সামাজিক সূচকের কিছু অবস্হান বর্ননা করা হলো।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে আসার সকল মানদণ্ড পূরণ হয়েছে। ১৯৭২ সালে আট বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি এখন ৩০২ বিলিয়ন ডলারের।
দেশে ২০১০ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। যা কমে এখন ২০২০ সালে হয়েছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হার কমে হয়েছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। জিডিপির হিসেবে দেশের জাতীয় সঞ্চয় এখন ৩২ শতাংশ। এতে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে দেশে ৫ বছরের নিচে শিশু মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ছিল ৬৮, এখন এটি ২৮।
মাতৃমৃত্যু হারও প্রতি হাজারে ৩ দশমিক ৪৮ থেকে কমে ১ হয়েছে ৬৫।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩ থেকে কমে হয়েছে ১.৩৭ ভাগ। ২০০৫ সাল থেকে গত আয়ু বেড়েছে ৬৫.৫ বছর থেকে ২০২০ সালে ৭২.৬ বছরে।
সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে অন্তর্ভুক্ত প্রায় সাড়ে ছয় কোটি মানুষের জন্য ২০২০ ব্যয় করা হয়েছে ৯৫ হাজার কোটি টাকা; যা জিডিপির ৩.০১ শতাংশ।
জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ১৯৯৭ থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ২১ হাজার ৯৮৩ টি ব্যারাকে মোট তিন লাখ ১৯ হাজার ১৪০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
পাশাপাশি জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনে কক্সবাজারের খুরুশকুল আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ তলা ১৩৯ টি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে চার হাজার ৪০৯ টি উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নাগরিকদের সাময়িক আশ্রয়ের জন্য নোয়াখালীর ভাসানচরে আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্প বাস্তবায়ন।।
রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন-বেপজার মাধ্যমে সারাদেশে আটটি ইপিজেড নির্মাণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সারাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৫০ লাখ পরিবারের কাছে সরাসরি নগদ অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়। শিল্প ও বাণিজ্যের জন্য এক লাখ ১২ হাজার ৬ ৩৩ কোটি টাকারও প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।
এই প্রণোদনা প্যাকেজ দেশের জিডিপির ৪.০৩ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের প্রবল ছোবলে ও ২০০৬ সালে প্রবৃদ্ধি ৫.৭% আর ২০২০ প্রবৃদ্ধি ৮.২৮ এর কাছাকাছি, মাথাপিছু গড় আয়২০০৬ সালে ৪২৭ ডলার আর ২০২০ সালে ১৯৫২ ডলার, সাক্ষরতার হার ২০০৬ সালে ৫১-৯০% আর ২০২০ সালে ৭৮.৮৬%,দারিদ্র হার ২০০৬ সালে ৪১.৩১% আর এখন ২০২০ সালে ১১.৩০%,বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ২০০৬ সালে ৩১০০ মেঘাওয়াট আর ২০২০ সালে ২৪০০০ মেঘা ওয়াটের কাছাকাছি, দৈনিক গ্যাস উত্তোলন ২০০৬ সালে ১৫৩০ মিলিয়ন ঘনফুট আর এখন ২০২০ সালে ২৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
উন্নয়নকাজে নিজস্ব অর্থায়নে যে প্রেক্ষপটে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন শেষ হতে যাচ্ছে এবং মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলের মতন বড় বড় প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে, তাহা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বের দৃঢ়তা ও সাহসের দুর্লভ উদাহরণ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ও তিনি পেছন সারির দেশের পেছন সারির নেতা নন,বরং ক্রমে উন্নয়নশীল দেশের নির্ভরযোগ্য বলিষ্ঠ মুখপাত্রে পরিনত হয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তন এই ইস্যুর বিশ্ববাসী নেতাদের সম্মূখে সার্বিক গুরুত্ব তিনি তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির মরন ছোবল এর মধ্যে বাংলাদেশের এই অর্জন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণাবলী কারনে।। এই কারনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জয়গান করি।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু।।
বাংলাদেশ চিরজীবি হউক।।

Leave a Comment

Your email address will not be published.