বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন অপশক্তিই আওয়ামীলীগকে দাবায়ে রাখতে পারবেনা।

Spread the love

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সংগঠন, অনেক লড়াই সংগ্রাম ও ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে এই সংগঠন তৈরী হয়েছে। এই সংগঠনের হাত ধরেই আমরা পেয়েছি আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে। এই সংগঠনের অধিনায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের আহবানে বাঙ্গালী জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে, দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ তাজা প্রান ও তিন লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছেন বাংলার স্বাধীনতা একটি লাল সবুজের পতাকা ও স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ নামক একটি মানচিত্র সবই সম্ভব হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সৎ সাহস সঠিক দিক নির্দেশনার মাধ্যমে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনো নিজের সার্থের জন্য রাজনীতি করেন নি, বঙ্গবন্ধুর সব সময়ই চেয়েছিলেন বাংলাদেশকে কেহ যেনো তলা বিহীন ঝুড়ি ও বাঙ্গালীকে ভিখারি বলতে না পারে কারন বঙ্গবন্ধু এই দেশ ও জাতিকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশী ভালবাসতেন। বড়ই দুঃখের ও লজ্জার বিষয় আমাদের সেই বাঙ্গালি জাতির হাতেই, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ স্বপরিবারে অতি নিষ্ঠুর নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়। এই লজ্জা পুরো বাঙ্গালী জাতির এই লজ্জা ইতিহাস থেকে কখনো মুছে ফেলা যাবে না। (আমার মূল কথা হল তখনো বাংলাদেশে আওয়ামিলীগ ছিল) আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতার অনুরোধে নেতৃত্বহীন দলের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একদিকে পরিবার পরিজন হারানোর বেদনা অন্য দিকে ভাঙ্গাচুড়া সংগঠন তারপরও শক্তহাতে দলের সাংগঠনিক কাজে মনোনিবেশ করেন আর স্বপ্ন দেখেন বাবার স্বপ্ন পূরনের ও বাঙ্গালি জাতির মুখে হাসি ফুটানোর হ্যা আজ তিনি একজন সফল প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ব নেতৃত্বে একজন সফল রাজনীতিবীধ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের একজন পথ প্রদর্শক হিসেবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে দাঁড় করাতে পেরেছেন । বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার ছায়াতলে থেকে আজ আমাদের সম্মানিত নেতারা কি শিক্ষতে পারলেন সেটাই আমাদের দেখার বিষয়। অনেক এলাকায় ইদানীং দেখা যাচ্ছে গ্রুপিং নেতায় নেতায় কোন্দল, দলকে হাইলেট করার চেয়ে নিজেকে হাইলেট করায় ব্যস্ত। নিজের গ্রুপকে ভারী করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধীদের দলে জায়গা করে দিচ্ছেন আর এই সুযোগে কিছু স্বার্থানেশী লোক দলের নেম প্লেট ব্যবহার করে নিজের সার্থ আদায় করে নিচ্ছেন আর বদনামের ভাগিদার হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ, বাংলাদেশ যুবলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন ও মানবতার জননেত্রী শেখ হাসিনা। আর যাহারা দলের নেম প্লেট ব্যবহার করে দলের সুনাম নষ্ট করতেছে তারা দলের কোন শুভাকাঙ্খী নয় এরা দলের অনুপ্রবেশকারী । নির্বাচন নিয়ে এমন কিছু নেতার বক্তব্য শোনা যাচ্ছে যে দল নমিনেশন না দিলেও নির্বাচন করবেন আমার কথা হল যাহারা নিজের সার্থের জন্য দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে যেতে পারেন তাদের কাছে দল কি পেতে পারে আর এই ধরনের কিছু পরগাছা নেতাদের কারনেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠনের বদনাম হয় এদের কারনেই কিছু উগ্রবাদী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক সংগঠনের দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলতে সাহস পায়। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সকল নেতাদের প্রতি বিনীত আবেদন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠনে থেকে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে ফিরে আসুন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সকল নেতাকর্মী যদি একমেরুতে অবস্থান নেয় আল্লাহর অশেষ রহমতে কোন অশুভ শক্তির ক্ষমতা নেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর চলার পথে বাঁধা হয়ে দাড়ানোর। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হউক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও তাঁর সকল অঙ্গ সংগঠনের।

নাসির উদ্দিন

সমর্থক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।

Leave a Comment

Your email address will not be published.