
বর্ণনাঢ্য স্মৃতিচারনে
বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ ফরাজী।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির শাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহীদুল ইসলাম এমপি ক্রীড়া মন্ত্রী থাকার সুবাদে মাদারীপুর স্টেডিয়ামে শের-ই-বাংলা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট জাতীয় খেলার একটি পার্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। মাদারীপুর জেলা প্রশাসক জনাব আ:রশিদ, পদাধিকার বলে মাদারীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হুসাইন, যুগ্মসম্পাদক শহিদুজ্জামান রেজা খান। আ:রশিদ স্যারের নির্দেশনায় সহ-সভাপতি এ ডি সি রাজস্ব মোহাম্মদ হাসান সমম্ত কাজ তদারকিতে চলতো, সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আলম বাবু চৌধুরী। উক্ত ক্রীড়ানুষ্ঠানের জন্য সুভেনির প্রকাশ করা হবে। প্রথমে একটি সুভেনির ছাঁপানো হয়েছিলো ভূলত্রুটি ধরাপড়ায় আ: রশিদ স্যারের নির্দেশ মত সমস্ত কপি পুড়িয়ে ফেলা হলো। পড়ে ওবায়দুর রহমান কালু খান-কে মূল দায়িত্ব ও আমাকে সংযুক্ত করে নতুন করে দ্রুত গতিতে সুভেনির তৈরী করার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দিলেন।
ইতিমধ্যে কালু ভাই ও আমি একটি ডামী সুভেনির জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট জমাদিলাম তিনি খুশি হয়ে ছাপার অনুমতি দিলেন।
আমরা যথারীতি ঢাকায় আসলাম সাথে জেলা প্রশাসক মহোদয় একটি চিঠি দিলেন মতিঝিল আমিন কোর্ট ভবনে সাকো কোম্পানির কর্ণধার সৈয়দ আবুল হোসেন কে তার সাথে দেখা করলে ঐ চিঠির কথা মতো ২০ হাজার টাকা দিবেন।
সাকো কোম্পানি হলো দক্ষিণ কোরিয়ার মেঘা দাইহু কোম্পানি ও চীনের রাষ্ট্রীয় মেঘা ব্রীজ কোম্পানির স্হানীয় বাংলাদেশী এজেন্ট।
এই ব্রীজ কোম্পানির মাধ্যমে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং এর সথে রাজনৈতিক সখ্যতা গড়ে তোলেন, যা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। ফকিরাপুলে একটি আবাসিক হোটেলে উঠে ব্যাস্ত হয়ে উঠলাম সময় কম আমরা আমাদের পূর্ব পরিচিত একসময়ে নাজিমুদ্দিন কলেজের ছাত্র লীগ নেতা ৭১ এ জাজিরা থানা মুজিব বাহিনীর কমন্ডার ইউনুস খলিফার সুমী প্রিন্টিং প্রেসে নীলক্ষেত বাবুপুরায় তার সাথে দেখা করি, আমাদের ডামী সুভেনির তাকে দেখালাম তিনি আন্তর্জাতিক মানসম্মত আরও কিছু ছাঁপানো সুভেনির কপি দেখালেন,আমরা ঐ সব সুভেনিরের ছায়া অবলম্বনে সুন্দর নয়নাভিরাম দৃষ্টি নন্দন সুভেনির তৈরী করলাম মাননীয় মন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক ও ক্রীড়া সংস্থা আমাদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন।
আমরা টাকার জন্য মতিঝিল সাকো অফিসে যাই
রিসিভশনিষ্ট আমাদের সৈয়দ আবুল হোসেন সাহেবের সাথে তার কক্ষে নিয়ে যান। আমরা দুজন এই প্রথম তাকে প্রত্যক্ষ করছি সুন্দর আকর্ষণীয় চেহারার সুপুরুষ কোট-প্যান্ট, টাই পরিহিত, তিনি তার সভাব সিদ্ধ ভদ্রচিত আচরণ ও আতিথেয়তা দিয়ে আমাদের সাদরে আকৃষ্ট করলেন। পরিচয় পর্বে কালু খান তার পিতা মৌলভী আচমত আলি খান মোকতারের নাম শুনে সৈয়দ সাহেব আবেগাপ্লুত হয়ে কালুকে ও আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক আদর করলেন। কালুখান আমাকে রাজনৈতিক নেতা বর্ণনা দিয়ে পরিচয় পর্ব শেষ করেন। আমার পরিচয় শুনে সৈয়দ সাহেব বল্লেন আপনারা শের- ই- বাংলা ফুটবল টুর্নামেন্ট করছেন ভলো, আপনারা যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এমন কিছু করেন তা হলে যত টাকা লাগবে আমি দেব।
বিদায় দেবার বেলা সৈয়দ সাহেব আমাকে তার অফিসে দেখা করার দাওয়াত দিয়ে রাখলেন।
২০হাজার টাকা সমেত আরও ৫ হাজার টাকা আমাদের দুজন কে গিপ্ট দিলেন যা আমাদের পক্ষে উপেক্ষা করা সম্ভব হয় নাই।
আমরা ভাবতে লাগলাম চরম দূর্দিনে এই সময়ে মতিঝিলের মত হাই প্রোফাইল এলাকায় বঙ্গবন্ধুর এমন ভক্ত রয়েছে, এইটা বিশ্বাস করতেও আশ্চর্য মনে হয়। আমি খুঁজতে লাগলাম কে এই আবুল হোসেন? উত্তর খুঁজে পেলাম তিনি মাদারীপুর জেলাধীন কালকিনি উপজেলার অন্তগত বর্ধিষ্ণু ডাসার গ্রামের সম্ভ্রান্ত সৈয়দ বংশের সৈয়দ আতাহার আলি সাহেবের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন।
তিনি ৭৮ সালে প্রখ্যাত আধ্যাতিক সূফী সাধক খাজা বাবা এনায়েতপুরী(রহ:) সাহেবের সেঝ ছেলে গদিনিশীন খাজা কামাল উদ্দীন (রহ:) এর সেঝ মেয়ে খাজা নার্গিস এর সাথে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন বর্তমানে তার দুই কন্যা সৈয়দা রুবাইয়াৎ হোসেন ও সৈয়দা ইফফাত হোসেন।
একদিন আমি, বাবু উদ্দীপন সিকদার কে ঘটনা খুলে বললাম। আমি, উদ্দীপন দা কে নিয়ে তার অফিসে গেলাম উদ্দীন দা র পিতা নিত্যগোপাল সিকদার জমিদার বংশ তাদের প্রতিষ্ঠিত হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিচয় শুনে সম্মানের সাথে উদ্দীপন দা কে গ্রহণ করলেন। আমরা তার সাথে রাজনৈতিক আলোচনা করলাম, তার আগ্রহ দেখে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার প্রস্তাব উত্থাপন করি, তিনি আমাদের স্বাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে বললেন।
আমি ও উদ্দীপন দা ৩২ এ আপার সাথে দেখা করে পুরো ঘটনা আমি বর্ণনা দিয়ে আপা কে সৈয়দ আবুল হোসেন সম্পর্কে বলি নেত্রী আমাদের কথা শুনে অনুমতি দিলেন তাকে ৩২ এ বাসায় নিয়ে আসার জন্য। পরের দিন আমারা মতিঝিলে সৈয়দ সাহেব কে আপার মনোভাবের কথা বলি তিনি কালবিলম্ব না করে আমাদের সাথে ৩২ এ আসেন আমরা আপার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ক্লোজলি কথা বলতে পারে, সেই সুযোগ দিয়ে আমি ও উদ্দীপন সিকদার বাহিরে এসে অপেক্ষা করতে থাকি।
এরপর থেকে আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন সাহেব, মাননীয় সভানেত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় সব রকম সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন শেষ দিন পর্যন্ত।
৭৫ এর বিয়োগান্ত ঘটনার পরে আমরা মাদারীপুর জেলায় ৭৯ ও ৮৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে স্বর্গীয় ফণী ভূষণ মজুমদারের সিট বাদে কালকিনি মাদারীপুর ও শিবচর সিটে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সর্বহারা গনবাহীনি সামাদীদল ও বিএনপি, জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসের কারনে ভোটে আওয়ামী লীগের নেতারা বিজয়ী হতে পারে নাই।
৮৭ সালের ভয়াবহ বন্যা মাদারীপুর জেলাবাসীর কষ্ট হলেও আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনেন।
বন্যা দূর্গত এলাকা কালকিনিতে সৈয়দ আবুল হোসেন, মাদারীপুর সদরে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আর্তমানবতার সেবায় দূর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে আসেন। আমি নেত্রী-কে আমাদের গ্রাম আড়িয়ালখা নদীর পাড়ে উঁচু জায়গা কালিকাপুর ফরাজীর হাট লঞ্চ ঘাটে নিয়ে আসি, হাজার হাজার নারী-পুরুষ একবুক পানিতে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য শোনেন।
লঞ্চের কেবিনে আমি দলের অসৌজন্যমূলক আচরণ ও দলীয় শৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলে প্রস্তাব করি দলীয় নেতৃত্ব পরিবর্তন করার। আমার প্রস্তাব সমর্থন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবীণ আ:লীগ নেতা ফজলুর রহমান খান বক্তব্য দেন দলের বর্তমান কাঠামো ভেঙে দিয়ে কনভেনিং কমিটি গঠন করতে অনুরোধ করেন, সেখানে কেন্দ্রীয় নেতা তোফায়েল আহমেদ, কর্নেল শওকত আলী, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবিদুর রেজা খান, স্হানীয় বাবু উদ্দীপনা সিকদার, আলহাজ্ব ফেরদৌস জমাদার, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া,আ:মান্নান মীর, আবু ভূঁইয়া নেত্রীর সফর সঙ্গী নজীব হাওলাদার সহ যুব লীগ শ্রমিক লীগ ছাত্র লীগের নেত্রীবৃন্ধ।
নেত্রী সকলের কথা গুরুত্বের সাথে শুনে আবিদুর রেজা খান কে মাদারীপুরে আওয়ামী পরিবার বর্গের কথা শুনে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেন।
আবিদুর রেজা সাহেবের রিপোর্টের ভিত্তিতে দাদাভাই ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী আহ্বায়ক, যুগ্ম-আহব্বায়ক যথাক্রমে আলহাজ্ব ফেরদৌস জমাদার ও এডভোকেট আ:লতিফ সহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট কনভেনিং কমিটির শেষ সদস্য আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিরোধ যোদ্ধা সিরাজ ফরাজী।
৮৮ সালে আবার ভয়ংকর বন্যা দু:খ-কষ্টের শেষ নাই,বন্যা শেষে আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেনের আর্থিক ও নৈতিক সাহায্য সহযোগিতায় নতুন উদ্যমে দলীয় সাংগঠনিক কাজ শুরু করলাম মাদারীপুর শিবচর রাজৈর কালকিনির ৫৮ টি ইউনিয়নে জনসভা প্লাস সম্মেলন করে কমিটি ঘোষণা দিয়েছি, তর তর করে আওয়ামী লীগ জেগে উঠেছে ৯১ এর নির্বাচনে কালকিনি + মাদারীপুর সিটে সৈয়দ আবুল হোসেন, মাদারীপুর+ রাজৈর সিটে কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর রাজ্জাক, শিবচর সিটে দাদা ভাই ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর নৌকা প্রতিকে বিজয়ী হন।
সৈয়দ আবুল হোসেন নিজ গুণে ভদ্রচিত আচার-আচরণে বড়ো আপা শেখ হাসিনা ও ছোট আপা শেখ রেহানার আস্হা ভাজন নির্ভরযোগ্য ভাই হিসাবে পরিবারের সদস্য রুপে পরিগনিত হয়েছিলেন।
৯৬ তে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সৈয়দ আবুল হোসেন কে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিলে তিনি তা সুচারু রুপে নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পশ্চাৎগামী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আকাশ চুম্বী উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সৈয়দ আবুল হোসেনের অবদান অনস্বীকার্য। পদ্মা-ব্রীজ উন্নয়ন প্রকল্পে দেশী-বিদেশী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বিশ্বব্যাংক ঋণ সহায়তা প্রত্যাহার করেনেন। সৈয়দ আবুল হোসেনের মাধ্যমে চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে যোগাযোগ স্থাপিত হয় পদ্মা-ব্রীজে চীনের ঋণ ও নিজেস্ব তহবিলে স্বপ্নের পদ্মা-ব্রীজ আজ বাস্তব। উল্লেখ্য: চীনের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি শি.জিং.পিং বিশেষ অতিথি হয়ে আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন ও তার বড়ো মেয়ে সৈয়দা রুবাইয়াৎ হোসেন বক্তব্য পেশ করেছেন আমি সেই ভিডিও ক্লীপ দেখেছি।
ষড়যন্ত্রকারিরা সৈয়দ আবুল হোসেন কে অপবাদ দিলো তিনি আর্থিক দূর্নীতি করেছে,প্রধানমন্ত্রী বললেন যে প্রকল্পে টাকা লগ্নি হলো না সেই খানে দূর্নীতি হলো কি করে এটা একটা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়। কানাডার আদলতে মামলা হলো সেই মামলায় সৈয়দ আবুল হোসেন বেকসুর খালাস পেলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে সৈয়দ আবুল হোসেন কে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে ঘোষণা দিলেন।
বিশ্বব্যাংক দ্বায় স্বীকার করে ঋণ সহায়তা না করা ভূল সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়েছেন।
কালকিনি + মাদারীপুর আসন থেকে ৪ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। পশ্চাৎপদ অনুন্নত পিছিয়ে পরা জনপদ এলাকাবাসী জুতা-সেন্ডেল পায় দিয়ে চলতে পারতো না, সেই সব জনপদ পীচ ঢালা রাজপথ। ডাসার গ্রাম ডাসার উপজেলায় উন্নতি হয়েছে,সুরম্য অট্টালিকা দালানকোঠা এলাকায় শ্রী-বৃদ্ধি ঘটেছে মনে হবে স্বপ্নপুরি। কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা আবুল হোসেনের আর্থিক সাহায্যে মেয়ে বিয়ে দিয়ে মেয়েজামাই সুখে ঘরকন্যা করছেন। বহু মসজিদ মক্তব মাদ্রাসা প্রাইমারি স্কুল-হাইস্কুল, কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি করেছেন। গরিব ছাত্র ছাত্রীর লেখাপড়ার খরচ এবং তার প্রতিষ্ঠানে গরিব ও মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা বৃত্তি নিজ তহবিল থেকে পরিষদ করে থাকেন। তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ন করে বহু মেধাবী ছাত্র ছাত্রী সরকারের উচ্চপর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন।
তার তুলনা দাতা হাতেম তাই, দানবীর হাজী মোহাম্মদ মহসীন, শিক্ষানুরাগি ব্রজলাল, ব্রজমোহন ও ইশ্বর-চন্দ্র বিদাসাগরের সাথে সামঞ্জস্য করলে অত্যুক্তি হবে না।
সৈয়দ আবুল হোসেনের অর্থানুকাল্যে তৈরী
★ শেখ হাসিনা একাডেমি এন্ড উইমেন্স কলেজ, ডাসার।
★ ডি,কে,আইডিয়ল আতাহার আলি একাডেমি এন্ড কলেজে, ডাসার।
★কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কালকিনি।
★ খোঁয়াজপুর সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ, খোঁয়াজপুর।
★ খাসের হাট,সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ, কালকিনি।
★ এ বি সি কে সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ।
ইহাছাড়া দেড় শতাধিক প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সৈয়দ আবুল হোসেনের অকাল মৃত্যুতে দেশ ও দশের বিরাট ক্ষতি হয়ে গেলো। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন কে কালকিনি মাদারীপুর বাসি কতটা ভালো বাসে, তার পরিবার স্ত্রী ও কন্যাদ্বয় অনুধাবন করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। মরহুমের মরদেহ ডাসারে না এনে এনায়েতপুরে সমাহিত করায় এলাকাবাসী মধ্যে বিরাট দু:খ ও ক্ষোব সৃষ্টি হয়। এমন একটা কথা বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে লাশ এলাকায় নিলে ফেরৎ দিতো না, এইটা খোড়া যুক্তি বলে মনে হয়। ডিসি এসপির প্রশাসনিক সহায়তা নিলে জানাজা শেষে লাশ এনায়েত পুর দরবার শরীফে পাঠিয়েদিতেন। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ঢাকায় জানাজায় অংশ নেই নি, আমি আমার ভাই কেন্দ্রীয় নেতা সাহাবুদ্দীন ফরাজী এলাকায় লোক জন নিয়ে জানাজায় অংশ নিব, অতীব দুঃখের বিষয় মরহুমের জানাজা পাঠ ও শেষ দেখা দেখতে পারলাম না।
সৈয়দ আবুল হোসেন সাহেবের অসমাপ্ত জনহিতকর কার্য্য সমাপ্ত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বড়ো আপা শেখ হাসিনা ও ছোট আপা শেখ রেহানা এবং তার সহধর্মিণী খাজা নার্গিস হোসেন, কন্যাদ্বয় সৈয়দা রুবাইয়াৎ হোসেন, সৈয়দা ইফফাত হোসেন কে এগিয়ে আসতে জোর অনুরোধ করছি।
আল্লাহ তুমি রহমানের রাহিম, মরহুম সৈয়দ আবুল হোসেন ভাই কে বেহেশত নসীব করুন আমীন।
- বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিরোধ যোদ্ধা
সিরাজ ফরাজী, রাজনীতিক সাবেক পরিচালক রুপালী ব্যাংক লিং/ ২৯/১০/২০২৩.
