
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। 
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ই আগষ্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম শেখ জহিরুল হক, মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম, এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। তিনি শৈশবেই বাবা মাকে হারান, পরে তাঁর লালন পালনের দায়িত্ব নেন তাঁর দাদা আবুল কাসেম, তাঁর দাদা আবুল কাসেম মারা যাওয়ার পরেই তাঁর লালন পালন ও পড়া লেখার দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধুর মাতা বেগম সায়েরা খাতুন, সে থেকেই বঙ্গবন্ধুর পরিবারে তাঁর বেড়ে ওঠা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছোট বেলা থেকেই বুদ্ধিমত্তা ও সাহসী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা বেগম সায়েরা খাতুন দুজনে মিলে পরামর্শ করে, বঙ্গবন্ধুর সাথে শেখ ফজিলাতুন্নেছার বাল্য বিবাহ দিয়ে দেন সে থেকেই বঙ্গবন্ধুর জীবন সঙ্গী হয়ে ওঠেন। বঙ্গবন্ধুর প্রত্যেকটা সাফল্যের পিছনে এই মহীয়সী নারীর অবদান ছিল অসাধারণ ও অকল্পনীয়। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য জীবনের সমস্ত সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পিছন থেকে দিয়ে গেছেন সাহস অনুপ্রেরণা, এই দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনকে তাঁর সংসার জীবনে বাঁধেন নী কখনো এর চেয়ে একজন নারীর জীবনে কি ত্যাগ হতে পারে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনের সঙ্গী ও বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট ঘাতকদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সময়– জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে মৃত্যু সঙ্গী হয়ে এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে ও। আজ ২০২০ সালের ৮ই আগষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৯০তম শুভ জন্মদিনে এই মহীয়সী নারীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন সহকারে মহান আল্লাহ পাকের দরবারে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
